চট্টগ্রামে ঝগড়া ও হাতাহাতির একপর্যায়ে শিলপাটা (নোড়া) হাতে নিয়ে স্ত্রীকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মেরেছিলেন স্বামী। কিন্তু তা শরীরে না লেগে নিচে পড়ে দুই টুকরো হয়। তখন শীলপাটার একটি টুকরো নিয়ে স্ত্রী এবার স্বামীর দিকে ছোড়েন। আর তাতে স্বামী পায়ে আঘাত পেয়ে নিচে পড়ে যান। এ অবস্থায় স্ত্রী তাঁর স্বামীর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ওই টুকরো দিয়ে আরও আঘাত করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক দিন পর তাঁর মৃত্যু হয়।
গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মো. শাহীন (৩৫) নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে নিহতের স্ত্রী বিউটি আক্তারকে (২৮) ইপিজেড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। পরে তাঁর দেওয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায় পুলিশ। এই দম্পতি নগরের ইপিজেড থানাধীন নারিকেলতলা এলাকায় থাকতেন।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিহত শাহীনের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন বিউটি। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে বনিবনা ছিল না। গত ৩০ মার্চ দুজনের মধ্যে প্রথমে ঝগড়ার পর হাতাহাতি হয়েছিল। একপর্যায়ে মারামারি হয়। মারামারির পর স্বামীকে শিলপাটা দিয়ে জখম করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে তাঁর বোনের বাসায় চলে যান। পরে শাহীনকে পরিবারের অন্য সদস্যরা উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করান।
হাসপাতালে শাহীনের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিউটিকে ইপিজেডে তাঁর বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে তাঁর সৎমাকে (বিউটি) আসামি করে ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।