চট্টগ্রামের রাউজানে গুলিতে নিহত যুবদল নেতা মো. সেলিমের এক সহযোগীর লাশ পাওয়া গেছে পাশের এলাকা রাঙামাটির কাউখালীতে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম লুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. দিদারুল আলম রিংকু (৪০) রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের শমশেরপাড়ার মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তিনি যুবদলের কর্মী ও ৬ জুলাই বোরকা পরিহিত দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত কদলপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব সেলিমের সহযোগী ছিলেন।
দিদারুলের ভাই মো. শফিকুল ইসলাম জানান, দিদারুল গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির পাশে এক কুলখানিতে যান। পরে রাত ১০টার দিকে স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলেন যে তাঁর মোবাইল ফোন ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকবে এবং এ নিয়ে চিন্তা করতে বারণ করেন। এরপর মোবাইলটি আর চালু হয়নি এবং তিনিও ঘরেও ফেরেননি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বেতবুনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধারের সংবাদ পাওয়া যায়।
শফিকুল আরও জানান, তাঁর ভাই সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে ও কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি যুবদলের নিহত নেতা সেলিমের সঙ্গে মাঝেমধ্যে চলাফেরা করতেন।
এ বিষয়ে কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ‘মরদেহের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে মুখে ফেনা ছিল, সেখান থেকে মাদকের গন্ধ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’