হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

সাজেক থেকে ফেরার পথে অপহরণের শিকার ৩ বন্ধু বাড়ি ফিরলেন

নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

রাঙামাটির সাজেক ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণের শিকার হয়েছিলেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তিন বন্ধু। সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় মুক্তি পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন তাঁরা। তাঁদের পরিবারে এখন বইছে আনন্দের জোয়ার। 

এর আগে গত মঙ্গলবার ভ্রমণ শেষে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে বাড়ি ফেরার পথে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থানার জামতলা বাজার এলাকা থেকে তাঁদের অপহরণ করে অপহরণকারীরা। মুক্তিপণ আদায়ে টানা পাঁচ ঘণ্টা নির্যাতন চালায়। 

অপহৃত ব্যক্তিরা হলেন—নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের ঝাউডাঙ্গী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে নাহিদ উজ্জামান (৩৮), মানিকনগর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে জোবায়ের আলম (৩৬) ও তালেরশ্বর গ্রামের কুদ্দুস ফকিরের ছেলে মামুন ফকির (৩৯)। 

নাহিদ ও জোবায়েরের পরিবারের সদস্যরা বলেন, ওদের অপহরণের খবরে সেদিন চিন্তায় পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিলাম। ওরা আজ বাড়িতে ফিরে এসেছে তাই আমরা খুব আনন্দিত। 

ভুক্তভোগী তিন যুবকের একজন নাহিদ উজ্জামান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত শুক্রবার বাড়ি থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে সাজেক ভ্রমণে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ভ্রমণ শেষে মঙ্গলবার সকালে আমরা আমাদের গাড়িতে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই। পথে সকাল ৯টার দিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থানার জামতলা বাজার এলাকায় আমাদের গাড়ির গতিরোধ করে ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত।’ 

 ‘এ সময় তারা বলে আপনারা গাড়ি চাপা দিয়ে একজন লোক মেরে ফেলে এসেছেন। দ্রুত গাড়ি থেকে নামেন। এক পর্যায় আমাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে জামতলা বাজারের পাশে অবস্থিত একটি স’মিলের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে প্রথমে আমাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে কার কাছে কি আছে জানতে চায় তারা। তখন আমি আমার কাছে থাকা ১০ হাজার টাকা তাদের হাতে দেই। কিন্তু তাদের মধ্যে থেকে একজন ওই টাকা আমার মুখের দিকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বলেন, ‘‘আমরা কি ফকিন্নি? মাত্র ১০ হাজার টাকা দিস।’ ’ এরপর আমাদের মারধর শুরু করে।’ বলেন, নাহিদ উজ্জামান। 

নাহিদ আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করা হয় আমাকে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমরা তখন তাদের মুক্তিপণের চাহিদা জানতে চাইলে ৫০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। দাবি করা ওই টাকার জন্য পরিবারকে চাপ দিতে বলে আর মারধর করে। দুর্বৃত্তদের নির্যাতনে মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, আমরা জীবনের মায়া ছেড়ে দিয়েছিলাম। ভাবছিলাম আর ফিরতে পারব না, আমাদের মেরে ফেরা হবে। পরে তাদের সঙ্গে আমাদের ২০ লাখ টাকা রফাদফা হয়। আমি কৌশলে ফোন করে আমার এক ভাগিনার কাছে ওই ২০ লাখ টাকা চাই। কিন্তু ভাগিনা আমার কথায় বিষয়টি বুঝতে পারেন। এরপর তিনি ঘটনাটি খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনীকে জানান।’ 

তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী ও পুলিশ আমার ফোন নম্বর ট্র্যাকিং করে আমাদের ঘটনাস্থল শনাক্ত করেন। তবে দুপুর দেড়টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ওরা আমাদের ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে পাঁচ ঘণ্টা পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। এরপর বুধবার ঢাকায় এসে একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে একদিন চিকিৎসা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে ফিরে আসি। অতিরিক্ত মারধরের কারণে এখনো আমি অসুস্থ। শরীরের প্রচুর ব্যথা। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে দীঘানালা থানা একটি মামলা করেছি।’

চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু

কুমিল্লায় শিশুখাদ্যে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

‘চিকিৎসা না পেয়ে’ গর্ভের সন্তানের মৃত্যু: চট্টগ্রামে ৪ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটা রীতিমতো অবান্তর: চবির উপ-উপাচার্য

ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে দ্বন্দ্ব, ভাড়াটে খুনি দিয়ে হকারকে হত্যা

চট্টগ্রামে ৩ দিনব্যাপী বিজয় মেলার উদ্বোধন

সীতাকুণ্ডে পানবোঝাই পিকআপ খাদে উল্টে দুজন নিহত, আহত ১

পটিয়ায় আগুনে পুড়ল ৭ দোকান

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় বিএনপির প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

চট্টগ্রামে হৃদ্‌রোগবিষয়ক সম্মেলন শুরু ১৫ ডিসেম্বর