লক্ষ্মীপুরে ‘আনন্দ পরিবহন’ নামের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয় অন্তত ২০ জনকে। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ কফিলউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুর্ঘটনার চার ঘণ্টা পর বাসটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন: সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের শেখপুর এলাকার মোরশেদ আলম (৫০), জয়নাল আবেদিন (৫৪) ও নওগাঁর আফসার উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন রশিদ (৪০), নোয়াখালীর রিপন হোসেন (৩৫) এবং সদরের মাজেদ হোসেন (৩৮)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে নোয়াখালী চৌমুহনী থেকে ২৫ থেকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে লক্ষ্মীপুরের দিকে যাচ্ছিল বাসটি। সকাল সাড়ে ৮টায় চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনের সড়কে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। পরে চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এরপর গাড়ির ভেতর থেকে মোরশেদ আলম, জয়নাল আবেদিন ও হুমায়ুন রশিদ নামে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর রিপন ও মাজেদ নামের দুজন মারা যান। এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী ও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অদক্ষ চালক ও বেপরোয়া গতিতে বাস চালানোর কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। গত ৬ আগস্ট একই সড়কে মাইক্রোবাস খালে পড়ে একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হয়। দ্রুত এসব বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে বাড়বে আরও দুর্ঘটনা।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার দাস বলেন, রেকার না থাকায় বাসটি উদ্ধারে সময় লেগেছে। খালে তীব্র স্রোত থাকায় অনেক সমস্যা হয়েছে। হতাহত বাড়ার শঙ্ক রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফয়েজুল আজীম নোমান বলেন, বেপরোয়া গতির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয় ২০ জনকে।