কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাব বলছে, তাঁরা মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্য।
হত্যা, পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে আগের একাধিক মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার আদালতে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আরসার কমান্ডার ও উখিয়ার বালুখালী ১৮ নম্বর ক্যাম্পের সোনা আলীর ছেলে রফিক (৫৪), অছির রহমানের ছেলে মোহাম্মদ রফিক (২০), পাশের ১২ নম্বর ক্যাম্পের মো. ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ রফিক (২১), রবিউল্লাহর ছেলে নুরুল আমিন (৩৪) এবং ৫ নম্বর ক্যাম্পের আবদুল বাসেদের ছেলে খায়রুল আমিন (৩২)।
গত শনিবার রাতে র্যাব ও জেলা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বলে র্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) মো. আবু সালাম চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরসার সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছেন খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় হত্যা, পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। ডা. রফিক আরসার একজন সক্রিয় গ্রুপ কমান্ডার এবং আরসার আহত সদস্যদের চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করতেন। এ ছাড়া অন্য আসামিরা আরসার বিভিন্ন পদে দায়িত্বে ছিলেন।’
১৮ জানুয়ারি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু শূন্যরেখার রোহিঙ্গা শিবিরে আরসা ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে সংঘর্ষের পর ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই ক্যাম্পে আরসার ৩৫টি সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া যায়।