ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান। আজ বুধবার নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে ঈদুল আজহার জামাতের স্থান পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি নগরীর সাগরিকা, বিবিরহাট ও মইজ্জ্যারটেক পশুর হাট পরিদর্শন করেন।
কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঈদ আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এটি সুন্দরভাবে পালনের জন্য আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করছি। ঈদে নিরাপত্তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো শঙ্কা দেখা যায়নি। আমাদের টহল ও গোয়েন্দা দল কাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ ও বড় ঈদ জামাতগুলোতে ঈদের আগের দিন ও ঈদের দিন বোম ডিসপোজাল ও মাইন্ড সুইপিং টিম কাজ করবে।’
র্যাবপ্রধান বলেন, ‘কোরবানিকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো চাঁদাবাজি–ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ সংঘটিত না হয়, সে জন্য আমাদের টহল দল সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছে। ফেনী, জঙ্গল ছলিমপুর ও হাটহাজারীতে প্রতিদিন চেকপোস্ট বসানো হচ্ছে। এক হাটের গরু আরেক হাটে যাতে ছিনতাই হয়ে না যায়, সে জন্য চেকপোস্ট চলছে।’
হাফিজুর রহমান বলেন, ‘পাশাপাশি জনগণ যাতে সড়কে ভোগান্তির শিকার ও তাঁদের নিরাপত্তায় যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে, সে জন্য নিয়মিত চেকপোস্ট চলছে। এ ছাড়া পশুর হাটে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা দল আছে। তারা ঈদের জামাতগুলোতেও থাকবে। আশা করি, ঈদ আনন্দের সঙ্গে করতে পারব।’
চসিকের ১০টি ঈদের জামাত
এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে মোট ১০টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জামাতও একই মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চসিকের শিক্ষা বিভাগের সমাজকল্যাণ ও সংস্কৃতি কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ।
সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে—লালদীঘির পাড় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন শাহি জামে মসজিদ, হজরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফিন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং সাগরিকা এলাকার মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ। এ ছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।