রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় অপহরণের আট দিন পর মো. মামুন নামের এক পোলট্রি খামারির বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে মাঝের পাড়া এলাকা থেকে মাটিচাপা অবস্থায় দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এক দম্পতিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামুন বেতবুনিয়ার সুগারমিল আদর্শ গ্রামের আলী আহম্মেদের একমাত্র ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দম্পতি হলো কামরুল ইসলাম (৩৫), তাঁর স্ত্রী সাথী আক্তার (১৯) ও আনোয়ার হোসেন। তাঁদের মধ্যে কামরুল নিহত মামুনের পোলট্রি খামারের সাবেক কর্মচারী।
পুলিশ জানিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে কামরুলকে গতকাল সোমবার লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের এক বন্ধুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করার পর কাউখালী থানায় আনা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাঁকে সঙ্গে নিয়ে আজ সকালে উপজেলার মাঝের পাড়া এলাকা থেকে মামুনের বস্তাবন্দী মাটিচাপা অবস্থায় দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, অপহরণের দিন রাতেই কামরুল নেশাজাতীয় দ্রব্য মেশানো চা খাইয়ে মামুনকে অচেতন করেন। পরে তাঁকে হত্যা করে লাশ দ্বিখণ্ডিত করে বস্তায় ভরে মাঝের পাড়া এলাকায় মাটিচাপা দিয়ে আত্মগোপনে যান।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম বলেন, মামুনের সাবেক কর্মচারী ছিলেন ঘাতক কামরুল। কিন্তু কর্মচারী থাকলেও সম্প্রতি তাঁরা দুজনে মিলে যৌথভাবে ব্যবসা করছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন কামরুল।
জানা গেছে, ৭ জুলাই দুপুরে মামুন বাড়ি থেকে কাজের জন্য বের হয়ে নিখোঁজ হন। ওই দিন রাতেই অপহরণকারীরা মামুনের স্ত্রী সীমা আক্তারকে জানায়, তাঁর স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে। তাঁকে ফিরে পেতে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। এরপর ৮ জুলাই মামুনের স্ত্রী কাউখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন এলাকায় অপহরণকারীদের সন্ধানে নামে পুলিশ।