নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বন্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার ঝোপ-জঙ্গলে অস্ত্র খুঁজছে পুলিশ। জেলার দাঙ্গা প্রবণ এলাকাগুলোতে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান করা হচ্ছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরধারিও বাড়ানো হয়েছে।
কারণ, জেলার বিভিন্ন এলাকায় কোনো কারণ ছাড়াই ঘটে গ্রামীণ সংঘর্ষ খ্যাত টেঁটা যুদ্ধের ঘটনা। তার মধ্যে ইস্যু থাকলে কোনো কথাই নাই, ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা। নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও কোনোভাবেই থামছে না এসব সংঘর্ষ।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো একটি ইস্যু পেলে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে এই এলাকার গোষ্ঠীগত দাঙ্গাবাজরা। যেহেতু জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে, এসব এলাকায় নতুন করে কেউ যাতে সংঘর্ষে জড়াতে না পারে, তাই আমরা নিয়মিত এসব দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছি।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আগে, নির্বাচনের দিন এবং পরে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব সংঘর্ষে জড়ানো রীতিমতো ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে জেলায়। সংঘর্ষে এবারও দা, লাঠি, টেঁটা, ফলা ও বল্লমের মতো দেশীয় মারণাস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়। চলতি সপ্তাহের অভিযানে পাঁচ হাজারের অধিক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
দাঙ্গা প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত সরাইল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে-দিনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে দেশীয় অস্ত্র।’
সদর মডেল থানা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের পর থেকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।’