মাওলানা লুৎফর রহমানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। গতকাল রোববার বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
গতকাল রাত ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রথম জানাজার পর আজ সকালে তাঁর জন্মস্থান লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের গাজীপুর রাজ্জাকিয়া জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা হয়। এ সময় মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকায় কাউকে লাশ দেখানো হয়নি। দ্বিতীয় জানাজা পড়ান চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আনোয়ার হোসাইন তাহেরী জাবেরী আল মাদানী।
পরে বদরপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ-মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মাওলানা লুৎফর রহমানের লাশ দাফন করা হয়। তৃতীয় জানাজায় ইমামতি করেন তাঁর বড় ছেলে মাওলানা আবু ছায়েদ মাহমুদ রিয়াজ।
মাওলানা লুৎফর রহমানের ছোট ছেলে আবু সালমান মোহাম্মদ আম্মার বলেন, গতকাল রোববার বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর বাবা মারা যান। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পাঠানো হয়। তিনি ব্রেন স্ট্রোক করেছেন বলে জানিয়েছিলেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মাওলানা লুৎফর রহমান লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত মাওলানা আব্দুস সামাদের ছেলে। তাঁর পাঁচ মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। তিনি কর্মজীবনে রাজখালি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচনে অংশ নেন।