লোকসানের কারণ দেখিয়ে গত শনিবার থেকে পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ধানের মোকাম থেকে ধান পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় ট্রাক মালিকেরা। প্রতি বস্তা ধান পরিবহনে আরও ৩ টাকা ৬৫ পয়সা থেকে ৬ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘট করছেন তাঁরা।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ধানের মোকামে। ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এ মোকামে ট্রাক মালিকদের ধর্মঘটের ফলে মোকামে ধানের বেচাকেনা বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভারত থেকে চাল আমদানির কারণে গত মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আশুগঞ্জ ধানের মোকামে বেচাকেনা কমেছে প্রায় ২৫ / ৩০ শতাংশ।
আজ সোমবারও ধর্মঘটের কারণে ধান পরিবহন বন্ধ থাকায় মোকামে বেচাকেনা বন্ধ রয়েছে। এতে করে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই ধানের মোকাম। দূরদূরান্ত থেকে ধান নিয়ে আসা ব্যাপারীরা যেমন দুর্ভোগে পড়েছেন, তেমনি বেকার হয়ে পড়েছেন মোকামের প্রায় এক হাজার শ্রমিক।
ইটনা থেকে আগত ধান ব্যাপারী নয়ন মিয়া জানান তিন ধরে মোকামে বসে আছি। চালকল মালিকেরা ট্রাকের কারণে ধান ক্রয় করছে না।
তাজপুরের শ্রমিক আলী হোসেন জানান, ৩ দিন ধরে কাজ বন্ধ। কাজ শুরু হবে এই আশায় প্রতিদিন সকালে মোকামে আসি। কিন্তু কাজ আর হয় না।
আশুগঞ্জ উপজেলা ট্রাক মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি আশরাফ আলী জানান, আগে যে ভাড়া ছিল তাতেও লোকসানে ট্রাক চালাতে হয়েছে। এখন জ্বালানি তেলের দর যে হারে বেড়েছে, তাতে ট্রাক চালানো দায় হয়ে পড়েছে। ভাড়া না বাড়ালে ধর্মঘট চলতে থাকবে।
উল্লেখ্য, পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় আশুগঞ্জ মোকামে ধানের মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ মণ ধান বেচাকেনা হয়। আর বাকি সময় বিক্রি হয় ৫০-৬০ হাজার মণ ধান। বর্তমানে মোকামে বিআর-২৯ ধান বিক্রি হচ্ছে ১০৮০ থেকে ১১০০ টাকা। আর মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ৯১০-৯২০ টাকা।