একটি খ্যাকঁশিয়ালের বাচ্চাকে এক বছর ধরে একটি লালনপালন করে বড় করেছেন হাসিনা আক্তার। তাঁর দুই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর সঙ্গে বেড়ে উঠছিল প্রাণীটি। খাঁচায় রাখা হতো শিয়ালটিকে। প্রাণীটির প্রতি মায়া পড়ে গিয়েছিল হাসিনা ও তাঁর সন্তানদের। কিন্তু আইনের কাছে হেরে গেল তাঁর মায়া। আজ শুক্রবার খাঁচা থেকে উদ্ধার করে শিয়ালটিকে ছেড়ে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর ফলকন গ্রামের বাসিন্দা হাসিনা আক্তার। উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় বন বিভাগ হাসিনার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে প্রাণীটিকে। এ সময় আর্তনাদ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন হাসিনা ও তাঁর দুই শিশু সন্তান!
উপজেলা প্রশাসনের সূত্র জানা যায়, আজ দুপুরে ইউএনও মো. কামরুজ্জামান শিয়ালটিকে উদ্ধার করে উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসেন। এ সময় শিয়ালের পিছে পিছে ছুটে আসেন বেদে পরিবারের গৃহবধূ হাসিনা ও তাঁর দুই প্রতিবন্ধী শিশু। এ সময় বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েন হাসিনা। শত অনুরোধেও কর্মকর্তাদের মন গলেনি। উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের কর্মীরা শিয়ালটিকে খাঁচা থেকে মুক্ত করে ছেড়ে দেন।
হাসিনা আক্তার বলেন, খুব ছোট অবস্থায় তিনি এক ব্যক্তির কাছ থেকে দুটি শিয়াল শাবক কিনে পালন শুরু করেন। কয়েক দিন পর একটি শাবক মারা যায়। একটিকে তিনি লালন-পালন করে বড় করেন। তার দুই প্রতিবন্ধী শিশুর বন্ধু হয়ে উঠেছিল শিয়ালটি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘বেদে পরিবারের একজন গৃহবধূ একটি শিয়ালকে দীর্ঘদিন খাঁচায় বন্দী করে রেখেছিলেন, যা বন্যপ্রাণী আইনে অবৈধ। আমরা খবর পেয়ে সেটিকে উদ্ধার করে আজ সন্ধ্যায় নির্জন স্থানে অবমুক্ত করেছি।’