চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে নিয়োগের কয়েক দিন পর নিয়মবহির্ভূতভাবে চারজনকে প্রকৌশলী পদে পদায়ন দেওয়ার প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার নগরীর টাইগারপাস চসিক ভবনে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে এ তথ্য জানা যায়। অভিযানে নেতৃত্বে দেন দুদক চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, চসিকে বিভিন্ন নিয়োগে নথি পর্যালোচনা করে আইন ও বিধির যথাযথ অনুসরণ ছাড়াই স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের মাধ্যমে সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা শ্রমিকদের পরে উপসহকারী প্রকৌশলী (১০ম গ্রেড) পদে পদায়নের প্রাথমিক তথ্যের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সুবেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা চসিক কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত ও শ্রমিক পদ হতে সরাসরি উপসহকারী প্রকৌশলী পদে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীদের তালিকাসহ অভিযোগসংশ্লিষ্ট আরও কিছু রেকর্ডপত্র চেয়েছি।’ সেগুলো পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম অতি দ্রুত কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানান দুদকের এই কর্মকর্তা।
তথ্যমতে, চসিকের নথি পর্যালোচনায় মো. রোকনুজ্জামান, রশিদ আহমদ, জাহেদুল আহসান ও এস এম রাফিউল হক মনিরী নামের তিনজন অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পাওয়া শ্রমিককে সরাসরি উপসহকারী প্রকৌশলী পদে পদায়ন করা হয়।
তাঁদের মধ্যে রোকনুজ্জামান ২০২৩ সালের ১৩ জুন সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে শ্রমিক পদে যোগ দেন। পরে কয়েক দিনের মাথায় ১৮ জুন তাঁকে উপসহকারী প্রকৌশলী (অস্থায়ী) পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়।
রশিদ আহমদ ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর অস্থায়ী ভিত্তিতে শ্রমিক পদে নিয়োগ পান। একই বছর ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে উপসহকারী প্রকৌশলী (অস্থায়ী) পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়।
একইভাবে জাহিদুল আহসান ও এস এম রাফিউল হক মনিরীকে শ্রমিক পদ হতে উপসহকারী প্রকৌশলী পদে পদায়ন করা হয়েছে বলে জানায় দুদক।
এর আগে দুদকের কাছে এ-সংক্রান্ত অভিযোগ আসে। অভিযোগ পেয়ে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরে সচিবের অফিসে অভিযান চালায়।