একের পর এক বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় থাকা জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর আরও একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে। ওই ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি পুলিশ-টুলিশ খবর দিই না। কোনো কারণ ছাড়াই চলে আসে। আগে আমাকে গ্রেপ্তার করত, এখন স্যালুট দেয়।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২২ অক্টোবর বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখিল মৌলভীবাজার এলাকায় ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম জেলা পশ্চিম শাখার সিরাত মাহফিলে তিনি এ বক্তব্য দেন বলে জানা গেছে।
৪৫ সেকেন্ডের ওই বক্তব্যে আঞ্চলিক ভাষায় শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘এমন কোনো বাপের ক্ষমতা কি আছে, দেখি; এখন পুলিশকে বলুক, সবাই মিলে যদি পুলিশে বলে যে শাহজাহান চৌধুরী এসেছে, তুমি (পুলিশ) যাও না। তখন পুলিশ বলবে, বাপরে বাপ... অবাজি, চিটাগাংয়ের সিংহ পুরুষ এসেছে; কী বাধা দিব, আমি গিয়ে পাহারা দিব।’
শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, ‘ওদিকে দেখতেছি, পুলিশেরা দাঁড়িয়ে রয়েছে। কে খবর দিয়েছে, জানি না। আমি পুলিশ-টুলিশ খবর দিই না। কোনো কারণ ছাড়া সবাই চলে আসে। আরাকান রোডেও আসে। এসে, স্যার আসসালামু আলাইকুম, স্যালুট। আগে আমাকে গ্রেপ্তার করত, এখন স্যালুট দেয়। এগুলো আল্লাহ তায়ালার কুদরত। আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানি না?’
এ বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে শাহজাহান চৌধুরীর পিএস মো. আরমান উদ্দিন এবং জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম জোনের প্রধান গোলাম পরওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এর আগে গত শনিবার (২২ নভেম্বর) রাতে নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে জামায়াতের নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের এক সমাবেশে তিনি ‘প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে’—এমন মন্তব্য করে বিতর্কের সৃষ্টি করেন। পরে তাঁর এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়।
এ ঘটনায় ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায়। সেখানে জানানো হয়, কেন তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেটির লিখিত জবাব সাত দিনের মধ্যে দিতে হবে; অন্যথায় দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।