চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মসজিদ-মন্দিরে অনুদানের চেক বিতরণের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মামলায় হাজির না হওয়ায় পরোয়ানা জারি হয়।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে, গত ১৬ জানুয়ারি নগরের ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ ধার্য তারিখ ছিল, কিন্তু আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এই কারণে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় পুলিশ চাইলে মহিউদ্দিন বাচ্চুকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করতে পারেন।
পরোয়ানা-সংশ্লিষ্ট খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নেয়ামত উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালতের আদেশের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে গত ২২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-১০ আসনের সব মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের এক হাজার টাকা করে এবং মাদানি মসজিদে এক লাখ টাকা অনুদানের চেক দেন মহিউদ্দিন বাচ্চু। বিষয়টি জুমার নামাজের খুতবার আগে মুসল্লিদের অবহিত করেন তিনি। একইভাবে ২৪ ডিসেম্বর লালখান বাজারে তাঁর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় থেকে মসজিদগুলোর ইমাম, মুয়াজ্জিনদের ৬০ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক দেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি ২১টি মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডায় অনুদানের চেক বিতরণের সত্যতা পায়। এ নিয়ে ৪ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন মামলা করার নির্দেশ দেয়।
এদিকে আচরণ বিধিমালার ৩ ধারা অনুসারে, কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে চাঁদা বা অনুদান দিতে বা দেওয়ার অঙ্গীকার করতে পারবেন না। মহিউদ্দিন বাচ্চু এলাকার মসজিদে অনুদানের চেক বিতরণ করেছেন বলে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ করেছিলেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০ আসনে মহিউদ্দিন বাচ্চু ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলকপি প্রতীকের প্রার্থী মনজুর আলম পেয়েছিলেন ৩৯ হাজার ৫৩৫ ভোট।