চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মানববন্ধন করেছেন আইনজীবীরা। মানববন্ধনে এ হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচার ও পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে আদালত এলাকায় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই মানববন্ধনে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে বিপুলসংখ্যক আইনজীবী অংশ নেন।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, ‘একজন আইনজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা করা বিচার বিভাগ, আইনজীবী সমাজ ও ন্যায়বিচারের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া। আমরা চাই, এই হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক আসামি দ্রুত আইনের আওতায় আসুক।’
আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ হাসান আলী চৌধুরী বলেন, যেকোনো হত্যার বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু একজন আইনজীবীর হত্যার ঘটনায় দ্রুত বিচার আরও জরুরি। কারণ, আইনজীবীরা সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাই আলিফ হত্যাকাণ্ডের বিচার বিলম্বিত হলে আইনের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাবে।
আলিফ হত্যা মামলার আইনজীবী মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, আলিফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি আশারাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক, মহানগর পিপি মো. মফিজুল হক ভুঁইয়া, স্পেশাল পিপি রওশন আরা বেগম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেপ্তারের পরে ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানায় বিএনপির এক নেতার করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে পাঠানোর আদেশ নিয়ে চিন্ময়কে বহনকারী পুলিশের প্রিজন ভ্যান প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে রাখে চিন্ময়ের অনুসারীরা।
একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করলে চিন্ময় অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। ওই সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।