ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত এমভি বাংলার সমৃদ্ধির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হাদিসুর রহমানের পরিবারকে ১০ লাখ ২৭ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেন (আইটিএফ) ও বাংলাদেশ মেরিনারদের পক্ষ থেকে এই আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে হাদিসুরের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্সের হাতে মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) কর্মকর্তারা এই সহায়তা তুলে দেন।
এর আগে, বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম মহানগরের বারিক বিল্ডিং মোড় সংলগ্ন পোর্টল্যান্ড সাত্তার টাওয়ারে বিএমএমওএ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন। এ সময় সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী ও নিহত হাদিসুরের ছোট ভাই প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী বলেন, ‘বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলায় হাদিসুর নিহত হওয়ার পর আমরা জানতে পারি হাদিসুর তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। এ ঘটনায় আমরা তার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিই। ওই ধারাবাহিকতায় আজ তার ছোট ভাইয়ের হাতে আমরা ১০ লাখ ২৭ হাজার ১৭৭ টাকা তুলে দিয়েছি। আমাদের মেরিনার এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন (আইটিএফ) পক্ষ থেকে এই টাকা প্রদান করা হয়।’
ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী আরও বলেন, ‘এর আগেও আমরা তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা পাঠিয়েছি। ওই সময় আমরা আমাদের মেরিনারদের হাদিসুরের বাবার অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো জন্য বলেছিলাম। সে সময় দুই দফায় একবার ১১ লাখ, অন্যবার ৩ লাখ টাকা তাঁর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।’
শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর আমরা এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি জানিয়েছিলাম। কমিটিতে আমাদের (বিএমএমওএ) দুজন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও সেখানে অ্যাসোসিয়েশনের কোনো প্রতিনিধিকে রাখা হয়নি। ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা থাকলেও আমরা এখনো কোনো তদন্ত প্রতিবেদন পাইনি।’
সংবাদ সম্মেলনে হাদিসুরের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স দুঃসময়ে তার পরিবারের পাশ থাকার জন্য বিএমএমওএ নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।