চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলন্ত লরিতে পেট্রল বোমা ছুড়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে লরির সুপারভাইজার মিনার উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ২৪ জন নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার এ মামলায় ১৪ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে গতকাল বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সবাই বিএনপির সক্রিয় কর্মী বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন।
গ্রেপ্তাররা হলেন মো. মামুন উদ্দিন (৩৪), মো. হেলাল উদ্দিন (৪৫), মো. শামসুল আলম (৫০), মো. আকবর হোসেন ওরফে হোসেন (৩০), ইমন চন্দ্র দাশ (২০), রবিউল হোসেন সাইমন (২২), নুরুল আবছার শিপন (২১), ইমরান হোসেন (২৬), মো. ওবায়দুল হক (৫৮), মো. নুর সোলাইমান (৫২), মো. সিরাজুল ইসলাম (৫৫), মো. ইমামুল হক রুবেল (৩০), মো. আব্দুল মোতালেব (৪৬) ও মো. সবুজ (৪১)।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের পন্থিছিলা এলাকায় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের মালিকানাধীন রড বহনকারী চলন্ত একটি লরিতে পেট্রল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে চালক ও চালকের সহকারী অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হন। এ ঘটনায় লরির সুপারভাইজার বাদী হয়ে বুধবার রাতে বিএনপি-জামায়াতের ২৪ নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলা পরবর্তীতে রাতভর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অগ্নি সন্ত্রাসের ঘটনায় জড়িত বিএনপির ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনার সঙ্গে আসামিদের সম্পৃক্ততার সত্যতা নিশ্চিতের পর এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’ এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।