চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আট দিনের ব্যবধানে আবারও জাল সিগারেটের স্ট্যাম্প (ব্যান্ড রোল) জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার চীন থেকে চট্টগ্রাম নগরীর জুবলী রোডের ১২৮, কাদের টাওয়ার (চতুর্থ তলা) আমদানিকারক আরাফাত এন্টারপ্রাইজের এ ফোর সাইজের ৮০ জিএসএম কাগজ আমদানি করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমসের এআইআর (অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্স) ইউনিট এই চালানটি আটক করে। দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে থাকা পণ্যের কন্টেইনারটি ফোর্স কিপ ডাউনের মাধ্যমে এআইআর টিম পরীক্ষা শুরু করে। এতে সিগারেট স্ট্যাম্প পাওয়া যায়।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পাপ্পু এন্টারপ্রাইজ আর্ট পেপার ঘোষণায় এক কন্টেইনার পণ্য চালানে জাল স্ট্যাম্প পাওয়া যায়। এই পণ্য চালানটি খালাস হয়ে গেলে স্ট্যাম্পগুলো ৩ কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার নিম্নস্তরের সিগারেটের প্যাকেটে ব্যবহার করা যেত। এর মাধ্যমে সরকার প্রায় ৯০ কোটি থেকে ১৪৩ কোটি টাকা রাজস্ব হারাত।
আজ বিকেলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার (প্রিভেনশন) সালাহউদ্দিন রিজভী আজকের পত্রিকাকে জানান, আমদানিকারক আরাফাত এন্টারপ্রাইজ চীন থেকে এ ফোর সাইজের ৮০ জিএসএম ঘোষণায় এক কন্টেইনার এ ফোর পেপার আমদানি করে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য চালানটিতে অসত্য ঘোষণায় সিগারেটের প্যাকেটে ব্যবহারযোগ্য জাল স্ট্যাম্প থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরবর্তীতে উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে কাস্টমসের এআইআর ইউনিট এ্যসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে পণ্য চালানটি ব্লক করে।
আজ ২২ ডিসেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারে মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্য পরীক্ষা–নিরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। কতটি ব্যন্ডরোল পাওয়া গেছে এবং কত টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে তা পরে জানা যাবে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী স্ট্যাম্প বা ব্যান্ডরোল দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করতে হয় এবং সংশ্লিষ্ট কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কর্তৃক দা সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ এবং সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটি প্রতি ৩ (তিন) মাস অন্তর প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সিগারেট স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল সরবরাহ ও ব্যবহার আড়াআড়ি যাচাইপূর্বক প্রতিবেদন জাতীয় বোর্ডের মূসক বাস্তবায়ন শাখায় পাঠাতে হয়। ফলে এই জাতীয় পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি বা দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ ব্যতীত অন্য কোন প্রতিষ্ঠান হতে ক্রয় করার কোন সুযোগ নেই।