৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খতনা করাতে গিয়ে এক শিশুর (৮) পুরুষাঙ্গের কিছু অংশ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ধরনের কিছু ঘটেনি। অসাবধানতাবশত পুরুষাঙ্গের বাড়তি ত্বক কাটতে গিয়ে, প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশি কাটা পড়েছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি বর্তমানে সেখানেই ভর্তি আছে। ভুক্তভোগী শিশুটি চরকাঁকড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকালে শিশুটির খতনা করাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে তার পরিবারের লোকজন। পরে সৌরভ হোসেন নামের এক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট শিশুটির খতনা করে। এ সময় তিনি শিশুটির পুরুষাঙ্গের কিছু অংশ কেটে ফেললে সে চিৎকার করতে থাকে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। এ সময় শিশুর স্বজনেরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন এবং শিশুটিকে ওয়ার্ডে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন।
শিশুটির চাচার অভিযোগ, চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এসব কাজে আরও সতর্ক থাকা উচিত। বড় ধরনের কিছু না হলেও এটি একধরনের অপচিকিৎসা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম বলেন, ‘যেহেতু রক্তক্ষরণ হয়েছে, তাই শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা স্বাভাবিক। বড় ধরনের কিছু হলে আমরা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করতাম।’