ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আন্তনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে ক্ষতিকর জীবাণু রোধে যুক্ত হচ্ছে বায়ো-টয়লেটসহ আধুনিক কোচ। কাল মঙ্গলবার সকাল ৭টায় কোরিয়ান অত্যাধুনিক এই কোচ দ্বারা ট্রেনটি পরিচালনা করা হবে। দুটি গার্ড কোচসহ ট্রেনটি চলবে ১৮টি কোচ নিয়ে।
আজ সোমবার বিকেলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (এসিওপিএস) আবু বক্কর সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ের ৩৬৮টি ট্রেনে বছরে পৌনে ১০ কোটি যাত্রী চলাচল করেন। এসব ট্রেনে দুই মুখ খোলা টয়লেট রয়েছে; যা যাত্রীদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই সরকার পুরোনো ট্রেন ও নতুন কোচে বায়ো-টয়লেট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়।
এ প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১৫০টি আধুনিক মিটারগেজ কোচ আনা হচ্ছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ দেশে এসে গেছে। এসব কোচ কিনতে ব্যয় হচ্ছে ৬৫৮ কোটি টাকা।
রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) তারেক মো. ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের বর্তমান রেকটি (সম্পূর্ণ কোচ) পরিবর্তন করে কোরিয়ান তৈরি ১৮টি কোচ দ্বারা পরিচালনা করা হবে। এই ট্রেনে মোট আসনসংখ্যা ৮৯০। তবে ভাড়ার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।’
তারেক মো. ইমরান আরও বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আনা মিটারগেজ কোচগুলো খুবই আধুনিক। এখানে স্বয়ংক্রিয় স্লাইডিং ডোর, বায়ো-টয়লেট, স্বয়ংক্রিয় ঘোষণাসহ নানা ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এর মাধ্যমে যাত্রীসেবার মান বাড়বে।’
পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো সব আন্তনগর ট্রেনে আধুনিক কোচ স্থাপন করা হবে। যাত্রীদের মান বাড়াতে সরকারের এই উদ্যোগ।