ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে (ইউসিবি) বন্ধক রাখা জমি ছেলের নামে দান করার মামলায় ব্যবসায়ী বাবা ও ছেলের বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান–এর ভার্চুয়াল আদালত এ আদেশ দেন। এতে দুদিনের মধ্যে অভিযুক্তদের পাসপোর্ট সিএমএম আদালতে জমার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অভিযুক্তরা হলেন, চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডের সামশু স’মিল ও মেসার্স এসএ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. সামশুল ইসলাম এবং তাঁর ছেলে মো. মিজানুর রহমান।
ব্যাংকের আইনজীবী মানস কুমার দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে মহানগর দায়রা আদালত ও সিএমএম আদালত বাবা ও ছেলের বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। আসামিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ বছর ২৯ জুন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (প্রথম আদালত) এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে ব্যাংকের পক্ষে উচ্চ আদালতে আবেদন করি। শুনানি শেষে উচ্চ আদালত আজ মঙ্গলবার নিম্ন আদালতের আদেশ বাতিল করেন। আদালত বাবা ও ছেলের বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
অভিযুক্তের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উচ্চ আদালতের আদেশের ব্যাপারে আমি এখনো জানি না।’
অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ ও ২০১২ সালে নিজের দুই প্রতিষ্ঠানের নামে মো. সামসুল ইসলাম ঋণ নেন। আগ্রাবাদ ধনিয়ালপাড়া ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) লিমিটেড থেকে দুই প্রতিষ্ঠানের ঋণের পরিমাণ ৫৯ কোটি ৪১ লাখ ৪৪ হাজার ২০১ টাকা। ঋণের বিপরীতে সামসুল ইসলাম নগরের চান্দগাঁও এলাকার ৯৩ শতক ভূমি বন্ধক রাখেন।
২০১৬ সালে ব্যাংকে জামানত রাখা জমি দুটি হেবাদলিলমূলে ছেলে মো. মিজানুর রহমানকে দান করে দেন। পরে ভূমি অফিসে ছেলের নামে নামজারি করে খাজনাও পরিশোধ করেন।