বোয়ালখালীতে মাদ্রাসাছাত্র ইফতেখার মালেকুল মাশফি হত্যার সাড়ে তিন মাস পর রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ রোববার সকালে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের দুই ছাত্রের স্বীকারোক্তিতে ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও কম্বল জব্দ করেছে পিবিআই।
পিবিআই কর্মকর্তা নাজমুল আহসান বলেন, ‘মাশফি হত্যাকাণ্ডের দায়িত্ব অর্পণের পর তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, কম্বলসহ বিভিন্ন আলামত মাদ্রাসা থেকে জব্দ করা হয়। ভিকটিমের সঙ্গে ঘটনায় জড়িত দুজনের খাবার পরিবেশন, খাবার গ্রহণ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। এসব কারণেই মাশফিকে হত্যা করা হয়।’
মাশফির বড় ভাই ইমতিয়াজ মালেকুল মাজেদ দাবি করেছেন, তার ভাইকে বলাৎকার করার পর হত্যা করা হয়। এ মাদ্রাসায় ছাত্রদের বলাৎকারের ঘটনা এটি নতুন নয়।
জানা গেছে, শিশু ইফতেখার মালিকুল মাশফি উপজেলার চরণদ্বীপ ফকিরাখালী বক্সি মিয়া সওদাগর বাড়ির প্রবাসী আবদুল মালেকের ছেলে।
উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ চরণদ্বীপ আল্লামা অছিউর রহমান হেফজখানা ও এতিমখানার নাজেরা বিভাগের ছাত্র ইফতেখার মালেকুল মাশফি (৭) হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মাশফির মামা মাসুদ খান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন। পুলিশ এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসার তিন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। এলাকাবাসী হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে। থানা-পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের কূলকিনারা করতে না পারায় আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।