ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে কক্সবাজারে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে সমুদ্রসৈকতে না নামতে সতর্কতা জারি করে মাইকিং করা হচ্ছে। ফলে পর্যটন নগরীতে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা কক্সবাজার ছাড়তে শুরু করেছেন। তবে কেউ কেউ আবার ঝড় দেখতে কক্সবাজারে আসছেন বলে জানান পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
সকালে কক্সবাজার শহরের ডায়াবেটিক পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সৈকতে জেলা প্রশাসন পর্যটকদের গোসলে না নামতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছে। পর্যটকদের সাগরে নামতে নিরুৎসাহিত করে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সি সেইফ লাইফ গার্ডের কর্মীরা। তারপরও পর্যটকদের মানানো যাচ্ছে না। অনেক পর্যটক অনুরোধ না মেনে বালিয়াড়িতে ভিড় করতে দেখা গেছে।
কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিতে ২০ হাজারের বেশি পর্যটক কক্সবাজার বেড়াতে এসেছেন। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারির পর শনিবার রাত থেকে পর্যটকেরা কক্সবাজার ছাড়ছেন। আবার অনেকেই ঝড় দেখতে আসছেন।’
কক্সবাজার এনা ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থাপক আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, ‘আজ রাতে কক্সবাজার ছাড়তে অনেকেই টিকিট করেছেন।’