ছাত্র সংগঠক, সমাজ-সংস্কৃতির সেবক আবু হাসান মোহাম্মদ শহীদ (৭৮) আর নেই। কয়েক মাস ক্যানসারে ভুগে গত মঙ্গলবার রাতে তিনি চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। গত বুধবার বাদ জোহর জানাজা শেষে তাঁকে চট্টগ্রামের চৈতন্যগলি কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। চিরকুমার এই সমাজসেবক আন্তর্জাতিক সম্মাননাপ্রাপ্ত একজন ব্যবসায়ী।
হাসান শহীদের আদিনিবাস নারায়ণগঞ্জে। তিনি বাংলা ভাষার জাতীয় মর্যাদার প্রথম প্রবক্তা ও তৎকালীন বঙ্গীয় মুসলিম সভার জ্যেষ্ঠ সদস্য মৌলভি ইয়াসিন কাজী সাহিত্যরত্নের নাতি, বিশিষ্ট ব্যাংকার মরহুম এএসএম ওয়াহেদের জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং ভাষাসৈনিক কাজী রেজাই করিমের ভাগনে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের মেধাবী ছাত্র হাসান শহীদ স্কুল জীবনেই ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান কমিশনের বিরুদ্ধে শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে সংগঠক হন। এরপর ৬৯-এর ছাত্র আন্দোলনেও ভূমিকা রাখেন। তিনি স্বাধীনতাপূর্ব চট্টগ্রাম বেতারের নিয়মিত কথক এবং স্বাধীনতার পর চট্টগ্রাম ফিল্ম সোসাইটি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এই চলচ্চিত্রবোদ্ধা সাংস্কৃতিক সংগঠক ফুঁলকি এবং চট্টগ্রাম আর্ট কলেজের পৃষ্ঠপোষকও ছিলেন।
আশির দশকের শুরুতে তিনি পুরোদমে ব্যবসা শুরু করেন। খাতনগঞ্জে তাঁর ইন্ডেন্টিং প্রতিষ্ঠান হুমা করপোরেশন কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে খাদ্যশস্যের শীর্ষ আমদানিকারক ছিল। কানাডা সরকার এ জন্য কয়েকবার তাঁকে বিশেষ সম্মাননাও দেয়। ব্যবসায় সফল এই মানবসেবী আমৃত্যু দরিদ্র ও দুস্থ মানুষদের দান করতেন এবং বিভিন্ন মানবসেবা প্রতিষ্ঠানকে তহবিল দিতেন।