চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ববিষয়ক সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদকে ধানের শীষের প্রতীকে প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে স্থানীয় পর্যায়ে দলের একটি অংশ বিদ্রোহ করেছে। এই পরিস্থিতিতে ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপিসহ সব ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এ কে এম সলিম উল্যা সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কমিটি স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনে মনোনয়ন না পেয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ হান্নানের সমর্থকেরা আন্দোলন শুরু করেছেন। দলের মনোনয়ন না পেয়ে ইতিমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন হান্নান। এই আসনে হান্নান ছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেন পাটওয়ারী, বিএনপি-সমর্থিত সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজি মোজাম্মেল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্বাস উদ্দিনও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। দলের নেতা-কর্মীদের বিদ্রোহ সামলাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ হান্নান বলেন, ‘শুনেছি, আমাকে এবং আমার দলের বিভিন্ন ইউনিটের দলীয় কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের বহিষ্কার করা হয়নি। আমি দলীয় মনোনয়ন পাইনি, এতে কোনো দুঃখ নেই। কারণ, ফরিদগঞ্জ উপজেলার দলীয় সব কমিটির সমর্থন আমার পক্ষে রয়েছে। এ জন্য আমি ধানের শীষ পাই আর না পাই, আমি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করব।’
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এ কে এম সলিম উল্যা সেলিম বলেন, ‘আমরা অনেকবার চেষ্টা করেছি, সবাই যেন এক হয়ে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করেন। কিন্তু আমরা ব্যর্থ হয়েছি। কেন্দ্রকে বিষয়টি জানালে তাঁরা আমাদের নির্দেশ দেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিসহ সব ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপির কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করার।’