ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নিজ পরিবারের লোকজনের হাতে মার খেয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাকপ্রতিবন্ধী হেদায়েত উল্লাহ (২৮) নামে এক যুবকের মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢাকার একটি হাসপাতালে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউরা গ্রামের মজিদ মোল্লার ছেলে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাকপ্রতিবন্ধী হেদায়েত উল্লাহ নামে এক যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
জানা গেছে, জুলাইপাড়া গ্রামের মজিদ মোল্লার ২ ছেলে ৪ মেয়ে। দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মো. হেদায়েত উল্লাহ জন্ম থেকেই বাকপ্রতিবন্ধী। হেদায়েত উল্লাহ তিন বছর পূর্বে একই গ্রামের আবুল খায়ের মিয়ার মেয়েকে বিয়ে করে। তার একটি সন্তান রয়েছে। সে বাক্প্রতিবন্ধী হওয়ায় হেদায়েত উল্লাহ ও তার স্ত্রীর ওপর অমানসিক নির্যাতন করে আসছে মা, বাবা, ভাই ও বোনসহ পরিবারের লোকজন। গত ১৬ জুন সন্ধ্যায় তার বাবা ও ছোট ভাই মিলে তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নবীনগর সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার্ড করেন। ৬ দিন মৃত্যুশয্যায় থাকার পর আজ তিনি মারা যান। গ্রামবাসীর অভিযোগ সম্পত্তির লোভে পরিবারের লোকজন তাকে হত্যা করেছে।
হেদায়েত উল্লার স্ত্রী রাকিবা আক্তার বলেন, আমাকে ও আমার স্বামীকে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে আসছে আমার শ্বশুর, দেবর, ননদ ও শাশুড়ি। কয়েক দিন পূর্বে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। ১৬ জুন রাতে আমার স্বামীকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছি। আমার স্বামী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মৃত্যু বরণ করেন। আমার স্বামীকে নির্মমভাবে যারা হত্যা করেছে, আমি তাদের বিচার দাবি করছি।