ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অলেক মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে অলেক মিয়া (৫০) মাগরিবের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে অতর্কিতভাবে হামলার শিকার হন। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মৃত মো. নান্ডু মিয়ার ছেলে কফিল উদ্দিন ও সামছুল হক তাঁকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।
খবর পেয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। চিকিৎসার জন্য বাঞ্ছারামপুর হাসপাতালে নেওয়ার পথে অলেক মিয়ার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে রাধানগর গ্রামের সাবেক মেম্বার মাসুদ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অলেক মিয়া আমার চাচাতো ভাই, মাগরিবের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে পূর্বশত্রুতার জের ধরে মহসিন মিয়ার ইন্ধনে কফিল উদ্দিন ও সামছুল হকের নেতৃত্বে রামদা ও ছোরা দিয়ে আমার চাচাতো ভাইকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে, পরে পুলিশের সহায়তায় তাঁকে বাঞ্ছারামপুর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।’
মাসুদ আরও জানান, ‘গত ইউপি নির্বাচনে আমি ও মহসিন দুজনই একই ওয়ার্ডর মেম্বার প্রার্থী ছিলাম। গ্রাম ও সমাজের স্বার্থে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই এবং মহসিন মিয়াকে সিলেকশনে মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত করি, তারপরও মহসিন ও তাঁর লোকজন কোনো কারণ ছাড়াই অলেক মিয়াকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গুরুতরভাবে জখম করে এবং আমাদের ৮-১০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।’
নিহত অলেক মিয়ার ভাগনে মো. সালাউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মামাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন, তাঁর কোনো কিছুতে দোষ নাই, তাঁকে নির্মমভাবে একদল সন্ত্রাসী হত্যা করেছে।’
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ বলেন, ‘খবর পেয়ে রাধানগর গ্রামে পুলিশ পাঠাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। সংঘর্ষে অলেক মিয়া নামে একজন গুরুতর আহত হন, পরে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে আনার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো মামলা হয়নি, প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে।’