হোম > সারা দেশ > ব্রাহ্মণবাড়িয়া

সরাইলে মেঘনার তীরে আবারও ভাঙন, বিলীন বসতভিটা-কৃষিজমি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

বর্ষার আগেই প্রমত্তা মেঘনা নদীর তীরে ভাঙন। সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে প্রমত্তা মেঘনা নদীর তীরে আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের মেঘনার তীরবর্তী গ্রামগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতভিটা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কৃষিজমি। আরও শতাধিক পরিবার তাদের বাড়িঘর ও কৃষিজমি রক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে।

পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর হোসেন জানিয়েছেন, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে একটি স্থায়ী প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব পাসের পর বরাদ্দ পেলে সে অনুযায়ী কাজ শুরু করা হবে।

জানা গেছে, গত কয়েক দিনে অন্তত ২০টি বাড়িঘর একেবারে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীতে ভিটেমাটি হারিয়ে মানবেতর অবস্থায় আছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। নদীর অব্যাহত ভাঙনের কারণে ঝুঁকিতে আছে নদীতীরবর্তী আরও শতাধিক ঘরবাড়ি। অধিকাংশ মানুষ ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, দোকানপাট হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন। ভয়ে অনেকেই ঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে নিয়েছেন। কেউ আবার টিনের ঘরই সরিয়ে নিচ্ছেন অন্যত্র।

ক্ষতিগ্রস্ত উসমান চৌধুরী বলেন, মেঘনা নদীর ভাঙনে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে।

মলাই মিয়া বলেন, নদীর তীর শুধু ভেঙেই থেমে থাকছে না, গভীর রাতে কৃষিজমি ও বসতবাড়ির মাটি দেবে যায়।

বর্ষার আগেই প্রমত্তা মেঘনা নদীর তীরে ভাঙন। সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মোস্তফা মিয়া বলেন, এভাবে ভাঙতে থাকলে একদিন পানিশ্বর মেঘনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তিনি দ্রুত একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।

বর্তমান ইউপি সদস্য ছাদু মিয়া বলেন, এবার বর্ষার আগেই ভাঙন শুরু হয়েছে। আপাতত অস্থায়ী ভিত্তিতে মেঘনা নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিলে আমরা বাড়িঘর রক্ষা করতে পারব।

সরাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমি নদীভাঙন এলাকা একাধিকবার পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে নদীভাঙন রোধে জিও ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে।’

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরাইলে মেঘনা নদীতে ভাঙন রোধে একটি স্থায়ী প্রকল্প তৈরি করে প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে একদিন মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে মেঘনা নদীতীরবর্তী গ্রামগুলো। পাশাপাশি দিনে দিনে বদলে যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের মানচিত্র। ভাঙন রোধে দ্রুত একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

বেকারির প্যাটিসে তেলাপোকা, গুনতে হলো লাখ টাকা জরিমানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গভীর রাতে ফের গোলাগুলি: যুবক নিহত, আহত ২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত ৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদ মীর মুগ্ধের ম্যুরালে কালি লেপন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ববিরোধের জেরে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা নারীসহ আটক ২

নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

সনদ জটিলতায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি বন্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফের রেললাইনে আগুন