ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় করোনার কারণে সাড়ে তিন বছর বন্ধ থাকার পর তারাপুর-কমলাসাগর সীমান্ত হাট দ্রুত চালু করতে দুই দেশের পরিচালনা কমিটি কাজ করছে। এর প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টায় হাটের অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি, বিদ্যুৎ, পানির লাইন মেরামতসহ সব সমস্যা সমাধানের জন্য হাট পর্যবেক্ষণ করতে আসেন দুই দেশের প্রকৌশলী দল।
আজ থেকেই শুরু হয়েছে হাটের ঝোপঝাড় পরিচ্ছন্নতার কাজ। এ সময় বাংলাদেশর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন—কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সনজিব সরকার, উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম, ভারতের আগরতলার প্রকৌশলী এ দেবনাথ, প্রকৌশলী সাব্যসাচী দেবনাথ, সিপাহীজলা ও বিশালঘর থেকে পিডিও অনুরাগ সেন, প্রকৌশলী অরিন্দম ভট্রাচার্য্য, মনজিব দাস ও বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার সুরেন্দর সিংহ প্রমুখ।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তাঁরা দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে মিটিং করে দুই দেশের পরিচালনা কমিটি হাট খোলার দিনক্ষণ ঘোষণা করবেন। জুলাইয়ের মধ্যেই হাট চালু করার আশা প্রকাশ করেন প্রকৌশলী দল।
এর আগে গত ৬ জুন সীমান্তহাট চালু করতে এডিএম পর্যায়ে আলোচনা সভা করেন দুই দেশের প্রতিনিধি দল। ওই সভায় অবকাঠামোগত সমস্যা নিরসন করে দ্রুত হাট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০১৫ সালের ১১ জুন দুই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদী ভিডিও কনফারেন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন তারাপুর-কমলাসাগর সীমান্তহাট। ২০২০ সালের মার্চে মহামারি করোনার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় হাটের কার্যক্রম।