বগুড়ায় ২৩ বছর ধরে পলাতক থাকা ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাফিজুর রহমান (৫৫) অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। তিনি গাবতলী উপজেলার পদ্মপাড়া গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে। গত রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বগুড়া শহরতলির শাকপালা মোড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ, পরিদর্শক লাল মিয়ার নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে হাফিজুরকে গ্রেপ্তার করে গাবতলী থানায় হস্তান্তর করেছে।
পরিদর্শক লাল মিয়া বলেন, রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ হওয়া অপহরণ করে ধর্ষণ মামলায় ২০০২ সালে হাফিজুরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি ছিল। কিন্তু আদালতে আত্মসমর্পণ না করে তিনি দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়ান। তিনি কয়েক বছর ধরে শাজাহানপুর উপজেলার ডোমনপুকুর গুচ্ছগ্রামে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন এবং শহরতলির শাকপালায় ভাঙারির ব্যবসা করতেন।
পুলিশ জানায়, ১৯৯৭ সালে রংপুরের এক তরুণীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন হাফিজুর। এ ঘটনার পর তরুণীর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। কিছুদিন পর হাফিজুর ওই তরুণীকে তালাক দিয়ে নিজ এলাকায় ফিরে আরেকটি বিয়ে করে এলাকা ছেড়ে দেন।
গ্রেপ্তারের পর হাফিজুর পুলিশকে জানান, রায় ঘোষণার পর তিনি দীর্ঘদিন ঢাকা এবং চট্টগ্রামে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। কয়েক বছর আগে বগুড়ায় ফিরে গুচ্ছগ্রামে ঘর নিয়ে বসবাস শুরু করেন এবং ভাঙারির ব্যবসা করতেন।