বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য বন্দর থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এফবি ভাই ভাই নামে একটি মাছ ধরা ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা ট্রলারের মাঝিসহ আট জেলেকে আহত করে বঙ্গোপসাগরে ফেলে মালামাল লুট করে বাকি ৯ জেলেকে অপহরণ করে বলে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান।
আজকের পত্রিকাকে মোস্তফা চৌধুরী বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে পায়রা বন্দর এলাকায় গভীর বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাত দল ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে রেখে যায়। ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে নেটওয়ার্কের মধ্যে এলে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফোনে খবর পায় মালিক সমিতি।
ওই ট্রলারের সহকারী মাঝি নুর মোহাম্মদের বরাতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মহিপুর থেকে বাজার সদাই নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের জন্য এফবি ভাই ভাই ট্রলারটি রওনা দেয়। রাত ২টার দিকে পায়রা বন্দর এলাকা থেকে গভীরে গেলে একটি ট্রলার পেছন দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে আট–দশ জনের একটি দল এই ট্রলারে উঠে এলোপাতাড়ি কোপানো ও গুলি করা শুরু করে।
ট্রলারের মাঝি শফিক, কাইয়ুম জোয়াদ্দার, ইয়াসিন জোয়াদ্দার, আবুল কালাম, খায়রুল, আব্দুল হাই, আব্দুল আলীম ও ফরিদ মিয়া ও খোকনকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়। এদের মধ্যে খোকন গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগরে পরে যায়। ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে বাকি ৯ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহৃতদের মধ্যে মধু ও আব্দুল হকের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’ জানিয়ে তিনি বলেন, ট্রলার মালিকসহ সব জেলের বাড়ি বরগুনা জেলার নলী গ্রামে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর ডাকাতির খবর শুনেছি। ট্রলার মালিক সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’