উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় আবারও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ লঘুচাপের প্রভাবে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে পটুয়াখালীতে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। টানা বৃষ্টির মাঝে গতকাল ২৭ জুলাই রাত ৯টার থেকে ১২টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় চলে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, গতকাল সকাল ছয়টা থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৫১.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ বৃষ্টিপাত ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত বলে নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অফিস।
এ বৃষ্টিপাত ও বন্যায় সাগর ও নদীর পানির উচ্চতা ৩ থেকে ৪ ফুট বেড়েছে। দুমকি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অনেক গাছ উপড়ে পড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। কোথাও কোথাও তার ছিঁড়ে গেছে, গতকাল থেকে বন্ধ রয়েছে উপজেলার বিদ্যুৎ সংযোগ। বৃষ্টিপাতের কারণে আমনের বীজতলাসহ বহু ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। অনেক বাড়ির উঠানে পানি জমেছে, সবজির খেত সহ বিভিন্ন এলাকার মাছের ঘের ডুবে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু গাছ উপরে ঘরের ওপর পড়লেও কেউ হতাহত হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিম্নচাপ, ভারী বর্ষণ ও ঝড়ের ফলে নদীর পানি তিন ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া পায়রা-লোহালিয়া ও তেঁতুলিয়া প্রধান তিনটি নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। যার ফলে উপকূলের নিমাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পটুয়াখালী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর এখনো বেশ উত্তাল রয়েছে। বাতাসের চাপও আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। তাই পায়রা বন্দরকে স্থানীয় ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে সাগর উত্তাল থাকায় মাছধরা ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে জেলার মৎস্য বন্দরগুলোতে বহু মাছ ধরার ট্রলার নোঙর করেছে।