বরিশাল নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের চহঠা এলাকায় নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে অশালীন কথা বলেন মোস্তফা। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক তালুকদারের ছেলে রুবেল তালুকদার। তাঁর বাসা চহঠা এলাকায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদ হোসেন কালাম মোল্লা।
গোলাম মোস্তফা আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠেয় বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের মনোনয়নবঞ্চিত বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী। সাদিকের অনুসারীরা এখন পর্যন্ত নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের নির্বাচনী প্রচারে যুক্ত হননি।
রুবেল তালুকদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গতকাল রাতে তাঁরা কয়েকজন চহঠায় মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় গোলাম মোস্তফা ১৫-২০টি মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে যান। তিনি জানতে চান ওটা কিসের ক্লাব এবং কী আলোচনা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব এবং নৌকার নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে জানানো হলে ক্ষিপ্ত হন গোলাম মোস্তফা। তিনি নৌকা নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যান।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর কালাম মোল্লা বলেন, গতকাল রাতে চহঠায় উত্তেজনার খবর পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মোস্তফার কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর ছোট ভাই আবদুল্লাহ আল মামুন আসন্ন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী। এ জন্য তিনি প্রতিদিন মোটরসাইকেল নিয়ে ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়ান। গতকাল রাতে চহঠা গ্রামের ঘটনাটি কাউন্সিলর নির্বাচনকেন্দ্রিক বিরোধ। তিনি সেখানে গিয়ে রুবেল তালুকদারসহ অন্যদের বলেছেন, তাঁরা যে প্রার্থীরই সমর্থন করেন। প্রতিপক্ষ প্রার্থী নিয়ে যেন খারাপ কথা না বলেন।
এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ও নগর আওয়ামী লীগের সদস্য ফরহাদ বিন আলম জাকির বলেন, তাঁরা এ বিষয়টি এখনো জানেন না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।