ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে গতকাল শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে এফবি মায়ের দোয়া নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। এ সময় চার জেলে তিন ঘণ্টা ভেসে অপর একটি ট্রলারে উঠতে সক্ষম হন। তাঁরা আজ শনিবার সকালে পটুয়াখালীর মহিপুর ঘাটে পৌঁছান। তবে ডুবে যাওয়া ট্রলারসহ অপর আট জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
এই চার জেলে হলেন নুর জামান মুন্সি, মাসুম মিয়া, আজগর মিয়া ও রাজিব। তাঁদের আজ সকালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একটি ট্রলারে পাথরঘাটায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নিখোঁজ জেলেরা হলেন আবুল কালাম, মো. জাফর মিয়া, মজিবুর রহমান, ট্রলার মালিক ইউসুফ মিয়া, ছত্তার হাওলাদার, নাদিম, বেল্লাল ও ইয়াছিন মিয়া। জেলেদের সবার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
এফবি মায়ের দোয়া ট্রলার মালিক নিখোঁজ ইউসুফের ভাই ইয়াকুব আলী বলেন, ‘গত মঙ্গলবার মাছ ধরার উদ্দেশ্যে পাথরঘাটা থেকে সাগরে যান ১২ জন জেলে। শুক্রবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ট্রলার ডুবে যায়। চার জেলে উদ্ধার হলেও আমার ভাইসহ আট জেলের সন্ধান মেলেনি।’
ফিরে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে ইয়াকুব আলী আরও বলেন, হঠাৎ ট্রলারটি ডুবে গেলে চারজন লাফ দিয়ে সাগরে পড়ে যান। ওই চার জেলে ভাসতে ভাসতে তিন ঘণ্টা পর অপর একটি ট্রলারে উঠে মহিপুর ঘাটে যান। তবে এখন পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ট্রলার ও বাকি জেলেদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘ট্রলার ডুবে যাওয়া ও জেলে নিখোঁজের খবর পেয়েছি। এদের মধ্য চারজন অন্য একটি ট্রলারে উঠে ঘাটে ফিরেছেন। নিখোঁজ বাকি আট জেলের খোঁজ নিচ্ছি।’
কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার লে. সাকিব মেহেবুব জানান, জেলে নিখোঁজের খবর এখন পর্যন্ত তাঁদের কেউ জানায়নি, তবে কোস্ট গার্ড জলসীমায় টহলে আছে। এখনো নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।