ভোলার চরফ্যাশনে সেই দেশি হাঁসটি আবারও কালো ডিম পেড়েছে। সে কালো ডিম নিয়ে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার জিন্নাগড় ৪ নম্বরের মতিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগমের পালিত একটি হাঁস আজ বৃহস্পতিবার আরও একটি কালো ডিম পাড়ে। এর আগে বুধবার কালো ডিম দেয় ওই হাঁসটি।
তাসলিমা বেগম বলেন, ‘আমার পালিত ১১টি দেশি হাঁসের মধ্যে ৮ মাস বয়সের একটি হাঁস এই প্রথম ডিম পাড়ে। ডিমের রং একেবারে কালো দেখে প্রথমে ভয় পেয়ে যায়। পরে ডিমটি বাড়ির অন্যদের দেখালে মুহূর্তের মধ্যে কালো ডিমের সংবাদটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। দেশি হাঁসের কালো ডিম দেখতে বাড়িতে মানুষের ভিড় জমায়।’
চরফ্যাশন উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের উপসহকারী প্রাণী সম্পদ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম বলেন, এই ঘটনা আরও কয়েক দিন পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে কী কারণে এই হাঁস কালো ডিম পেড়েছে। যদি দেখা যায়, এই হাঁসটি ধারাবাহিকভাবে কালো ডিম পাড়ছে তাহলে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের গবেষণাগারে হাঁস ও ডিম পাঠানো হলে সঠিক কারণ জানা যাবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, জানামতে হাঁস এ ধরনের কালো ডিম পেড়েছে এই প্রথম। জিংডিং জাতের একপ্রকার হাঁস হালকা নীল রঙের ডিম দেয় কিন্তু কোনো হাঁস কালো ডিম পেড়েছে কখনো শুনিনি এবং দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, ভারতীয় ব্রিডের কাদারনাথ বা কালো মাসি জাতের মুরগি কালো ডিম পারে। যার মাংসও কালো। হাঁসে কালো ডিম পাড়ার নেপথ্যে জরায়ুর কোনো সমস্যা হতে পারে। সাধারণত হাঁসের জরায়ুতে ডিমের খোসাটি ১৯ ঘণ্টা থাকে। এ সময় তিনি এই কালো ডিমকে অস্বাভাবিক ডিম বলে মন্তব্য করেন।