ঝালকাঠির রাজাপুরে ছাগল চুরির অভিযোগে এক মাদ্রাসাছাত্রকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আংগারিয়া খানবাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী উপজেলার দক্ষিণ আংগারিয়া দারুলহুদা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, গত ৭ জুন স্থানীয় আমজেদ খানের ছেলে রফিক খানের একটি ছাগল চুরি যায়। রফিক ঐ ছাগল চুরির ঘটনায় বেল্লাল খানকে সন্দেহ করেন। কিন্তু পরদিন দুপুরে নিজের অপরাধ অন্যের ঘাড়ে চাপাতে শফিক ও মুজাহার খানের তিন ছেলে দুলাল খান, বেল্লাল খান, সোহেল খান রাস্তায় ইজিবাইক থেকে ওই মাদ্রাসাছাত্রকে ধরে নিয়ে শফিকের বাড়ির পাশে একটি গাছের সঙ্গে বাঁধে। এ সময় ছাগল চুরির স্বীকারোক্তি নিতে তাকে মারধর করে। খবর পেয়ে রাজাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শামিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
ভুুক্তভোগী ওই মাদ্রাসাছাত্র জানায়, অভাব-অনাটনের সংসার হওয়ায় লেখাপড়ার পাশাপাশি ইজিবাইক চালিয়ে সংসারের খরচের ভারও বহন করতে হয় তাকে। ৮ জুন দুপুরে শফিক, দুলাল খান, বেল্লাল খান, সোহেল খান রাস্তায় ইজিবাইক থেকে ধরে নিয়ে শফিকের বাড়ির পাশে একটি গাছের সঙ্গে বাঁধে এবং ছাগল চুরির দায় স্বীকার করতে বলে।
তবে মো. বেল্লাল খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মারামারির কথা শুনেছি। পরে পুলিশ এসে শামিমকে উদ্ধার করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দিয়েছে তাও জানি। কিন্তু ঐ সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না।’
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, ‘ছেলেটাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে তাকে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’