বরিশালের মুলাদীতে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক ব্যবসায়ীর দেড় লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মাছ লুটের পর পুকুরের বেড়া, জাল ও খুঁটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া গ্রামের জামাল উদ্দিন সিকদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। জমির বিরোধের জেরে একই গ্রামের মামুন আকন ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে মাছ লুট করেন বলে দাবি করেন ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন সিকদার। এ ঘটনায় আজ শনিবার দুপুরে জামাল সিকদার বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেছেন।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরাফাত জাহান চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জামাল উদ্দিন সিকদার জানান, তিনি এলাকায় সার ও কীটনাশকের ব্যবসার পাশাপাশি বাড়ির পুকুরে মাছ চাষ এবং বাড়িসংলগ্ন খেতে তরমুজ, খিরা ও ফুটি চাষ করেছেন। জমির বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জেরে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মামুন আকনের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন দুর্বৃত্ত রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢোকেন। দুর্বৃত্তরা ২-৩টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং তাঁর পুকুরের প্রায় দেড় লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায়। পরে তারা পুকুরের বেড়া, খুঁটি ও জাল উঠিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া বাড়িসংলগ্ন তরমুজ, খিরা ও ফুটিখেতের গাছ উপড়ে ফেলে তারা। ওই সময় জামাল উদ্দিন সিকদার ও তাঁর লোকজন বাধা দিতে গেলে তাঁদের হত্যা ও এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেন হামলাকারীরা।
পরে শনিবার দুপুরে জামাল উদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে মামুন আকন (৫০), দিদার আকন (৪০), জহিরুল আকন (৩৬), সুরুজ আকন (২৮), জহির রাঢ়ীসহ (৩৫) ২৫ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেন।
জানতে চাইলে মামুন আকন মাছ লুট ও খেত নষ্টের কথা অস্বীকার করে বলেন, জমি উদ্ধার করতে শুক্রবার রাতে লোকজন নিয়ে মাছ ধরা হয়েছে এবং খেত পরিষ্কার করা হয়েছে।
মুলাদী থানার ওসি আরাফাত জাহান চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীর মাছ লুট ও তরমুজখেত নষ্টের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের পাশাপাশি আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।