বঙ্গোপসাগরে এফবি ভাই-ভাই ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী থানায় মামলা করেছেন ডাকাতের কবলে পড়া ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ মিরাজ।
ডাকাতির ঘটনায় ৩৯৫ / ৩৯৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গাবালী থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পায়রা বন্দর থেকে পশ্চিমে বয়া এলাকায় দস্যুরা হামলা করে। এ সময় ৯ জেলেকে জিম্মি করে ট্রলারে থাকা মালামাল লুটে নেয় এবং আরও ৯ জেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয় তাঁরা। এ ঘটনার প্রায় ৭০ ঘণ্টা পর গতকাল সোমবার ফেলে দেওয়া জেলেদের মধ্যে চারজনকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার চার জেলের মধ্যে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। তবে ঘটনার চার দিন পার হলেও বাকি পাঁচ জেলের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন—ট্রলারের মাঝি কাইয়ুম জোয়াদ্দার (৩৫), আবুল কালাম (৬০), আব্দুল আলিম (২২), ফরিদ মিয়া (৩০), খায়রুল (২৮)। এদের সকলের বাড়ি বরগুনার জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার চার দিন পার হয়ে গেলেও নিখোঁজ পাঁচ জেলের কোনো হদিস মেলেনি। নিখোঁজ এসব জেলেদের পরিবারগুলো উৎকণ্ঠায় সময় পার করছে। গতকাল (সোমবার) উদ্ধার হওয়া জেলেদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাকাতির ঘটনায় ট্রলার মালিক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ দিকে ডাকাতির ঘটনা পর রেঞ্জ ডিআইজির নির্দেশে পটুয়াখালী ও বরগুনার পুলিশ সুপার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছে। মামলার মূল ঘটনা উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি নিখোঁজ পাঁচ জেলেদের উদ্ধারে নৌ-পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: