গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া গ্রাম থেকে ‘গুম’ হওয়া কিশোরকে ৯ বছর পর ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে উদ্ধার করেছে। গুম হওয়া কিশোর রাসেল মৃধাকে গত সোমবার ঢাকা যাত্রাবাড়ী থেকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করেছে।
অপহরণ হওয়া ও ‘গুমের’ মামলায় ৪ আসামি দীর্ঘ দিন জেল খেটে জামিনে ও ৯ আসামি পলাতক রয়েছে। মিথ্যা মামলায় হয়রানি করায় বাদী ও তদন্তকারী কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অপহরণ ও গুমের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সরিকল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক ফোরকান হোসেন জানান, গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া গ্রামের জালাল মৃধার স্ত্রী ফাহিমা বেগম ২০১২ সালের মে মাসে গৌরনদী থানায় তাঁর ছেলে রাসেল মৃধাকে (২৩) অপহরণ ও হত্যার পর লাশ গুমের একটি মামলা করেন। মামলায় একই গ্রামের এস রহমান মৃধা ও তাঁর ছেলে আরমান মৃধা, রায়হান, স্থানীয় শাহীন মল্লিক, হক ভূঁইয়া ও তাঁর ছেলে মবিন ভূঁইয়াসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়। ২০১৩ সালে শেষের দিকে এজাহারভুক্ত ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
মিথ্যা মামলায় জেলহাজত থেকে জামিনে আসা রহমান মৃধা, রায়হান মৃধা অভিযোগ করেন, অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুমের মিথ্যা মামলায় তাঁরা ৪ জন দীর্ঘদিন কারা ভোগ করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফোরকান হোসেন বাদীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সঠিক তদন্ত ছাড়াই ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
পুলিশ পরিদর্শক ফোরকান হোসেন বলেন, ‘অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। মামলার তদন্তকালে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তাতে যে তথ্য পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতেই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।’
গৌরনদী থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, ‘উদ্ধার ওয়া রাসেল মৃধার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’