কচুগাছ কাটা নিয়ে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও তাঁর মাকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের দিঘীবালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের দিঘীবালী গ্রামে আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দিলীপ হালদারের ঘরের পাশে কচুগাছ কাটতে যান মনোরঞ্জন হালদার নামে এক ব্যক্তি। শিক্ষার্থী দিলীপের মা গীতা রানী হালদার কচুগাছ কাটতে বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায় গীতা রানী হালদারকে পুরুষাঙ্গ দেখান মনোরঞ্জন হালদারের ছেলে মিঠুন হালদার।
এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে দিলীপ হালদারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মিঠুন হালদার কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। ছেলেকে বাঁচাতে গেলে মা গীতা রানী হালদারকেও কুপিয়ে আহত করেন মিঠুন ও তাঁর পরিবারের লোকজন। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। মিঠুন হালদার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী ও মাদকসেবী বলে জানা গেছে।
কুপিয়ে আহত করার কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত মিঠুনের বাবা মনোরঞ্জন হালদার বলেন, ‘ঘরের পাশের কচুগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে। আমি ও আমার স্ত্রীও আহত হয়েছি।’
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সুশংকর মল্লিক বলেন, কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।