ইউক্রেনে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রাশিয়ার রকেট হামলায় নিহত মো. হাদিসুর রহমান আরিফের (২৯) বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।
স্বজনদের দাবি, যে করেই হোক হাদিসুরের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হোক। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা-বাবা। পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলের মরদেহ দেশে আনার জন্য সরকারের কাছে আকুতি জানিয়েছেন।
নিহত হাদিসুরের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা বাজারসংলগ্ন চেয়ারম্যান বাড়ির বাসিন্দা মো. আবদুর রাজ্জাক (অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক) ও আমেনা বেগম দম্পতির বড় ছেলে হাদিসুর।
নিহতের ছোট ভাই তারেক বলেন, ‘গতকাল বুধবার শেষবারের মতো হাদিসের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের মুঠোফোনে কথা হয়েছিল। হাদিস ইউক্রেনে আটকে থাকার কথা আগেই পরিবারকে জানিয়েছিলেন। বড়ভাই হাদিসুর পরিবারের সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন যেন নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারেন।’
হাদিসুর মা আমেনা বেগমের ছেলের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে শোকে পাগলপ্রায়। বাবা আবদুর রাজ্জাক বাকরুদ্ধ।
আমেনা বেগম বিলাপ করে বলেন, ‘বাজানে মোরে কইছে, এইবার বাড়তে আইয়া ঘর উডাইবে, আর ভাঙা ঘরে থাহন লাগবেনা। ঘরহান উডান অইলে বিয়া কইরা বউ ঘরে আনবে। মোর পোলাডার লাশটা আইন্না দ্যান, মোর পোলাডারে মুই একনজর দেকমু, আর কিচ্ছু চাইনা।’
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, নিহত হাদিসুরের মরদেহ দেশের আনার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।