পটুয়াখালীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে অনশনে বসেছেন রাবেয়া বেগম (৩৫) নামের এক শিক্ষার্থীর মা। আজ শনিবার সকাল ৬টার দিকে সদর উপজেলার মৌকরন ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে শিক্ষক মো. আবদুর রশিদের (৫০) বাড়িতে রাবেয়া বেগম অনশনে বসেন তিনি।
এ নিয়ে সকাল থেকে ওই এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে ওই শিক্ষক আব্দুর রশিদ বাড়ি থেকে চলে যান।
অনশনে থাকা রাবেয়া বেগম জানান, পূর্ব কালিকাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ (৫০) ও মৌকরন ইউনিয়নের খালেক হাওলাদারের মেয়ে রাবেয়া বেগম (৩৫) একই ইউনিয়নের বাসিন্দা। রাবেয়া বেগমের সন্তান পূর্ব কালিকাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের শিক্ষার্থী হওয়ার সুবাদে আব্দুর রশিদের সঙ্গে ৬ বছর আগে রাবেয়া বেগমের পরিচয় হয়। এর পর থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁদের মধ্য।
অনশনে থাকা রাবেয়া বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আব্দুর রশিদ ছয় বছর পর্যন্ত আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে থেকেছেন। সর্বশেষ তিনি আমাকে নিয়ে ঢাকা গিয়ে কলমা পড়ে বিয়ে করেছেন তবে কাবিন করেননি।’
রাবেয়া বেগম আরও বলেন, ‘আব্দুর রশিদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক থাকায় পরিবারের কেউ আমাকে আশ্রয় দিচ্ছে না। আজকে আমি অসহায় হয়ে তাঁর বাড়িতে এসেছি। স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিলে এখান থেকে আমার লাশ বের হবে।’
অভিযোগ অস্বিকার করে মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ওই নারীর সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। ওই নারী আমার নামে আগেও ধর্ষণের মামলা করছে। যা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মামলা খারিজ করে দিয়েছে।’
মো. আব্দুর রশিদের স্ত্রী তানিয়া বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। স্বামীকে ফাঁসাতে মূলত এই নারীকে দিয়ে এই নাটক করছে প্রতিপক্ষ।’
মৌকরন ইউনিয়নের ৮ নম্বর ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি শিক্ষক মো. আব্দুর রশিদের বাড়িতে অনশনে এক নারী বসেছে। মূল বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি আমরা।’