বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫০০ জন। উপসর্গ ও করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়ে ১৩ জন মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৪৯। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, ২৪ ঘণ্টায় ছয় জেলায় মোট ১ হাজার ২৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫০০ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। পজিটিভ শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন। তাঁদের সবাই বরগুনা জেলার।
অপরদিকে শেবাচিম হাসপাতালের করোনাসংক্রান্ত তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা জাকারিয়া খান স্বপন জানান, এই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১২ জন। এর মধ্যে দুজন পজিটিভ শনাক্ত এবং অপর ১০ জন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালের আরটি–পিসিআর ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ২০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৪ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। শনাক্তের হার ৬১ শতাংশ।
গত কয়েক দিনের মতো বৃহস্পতিবারও বিভাগের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ও পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারে শীর্ষে বরিশাল জেলা। এ জেলায় ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৯২ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। শনাক্তের হার ৪৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ভোলা জেলায় শনাক্তের হার ৪২ দশমিক ৭৩। এ জেলায় ১১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৭ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
পটুয়াখালী জেলায় ২৪ ঘণ্টায় ১৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ১২ শতাংশ। ঝালকাঠিতে শনাক্তের হার ৩৪ শতাংশ। এ জেলায় ২৫০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮৫ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
বরগুনায় ১৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৬ এবং পিরোজপুরে ২৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭১ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এ দুই জেলায় শনাক্তর হার যথাক্রমে ৩১ দশমিক ৯৪ এবং ২৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এই হাসপাতালের ৩০০ শয্যার করোনা ইউনিটে বৃহস্পতিবার ৮টা সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিল ২৭৯ জন। এর মধ্যে ১০৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হন।