ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া দুই লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে লঞ্চ তাসরিফ-২ চাঁদপুরের কাছাকাছি এলাকায় এলে মেঘনা নদীর মাঝে একই রুটের লঞ্চ ফারহান-৫ পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।
এদিকে দুই লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লঞ্চ দুটি ভোলা থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছিল। এ ঘটনায় উভয় লঞ্চের শিশুসহ ১০ যাত্রী আহত হয়েছে।
তাসরিফ-২ লঞ্চের যাত্রী সুমন, আরিফসহ আরও কয়েকজন জানান, ফারহান-৫ লঞ্চটি বেপরোয়া গতিতে তাসরিফ লঞ্চটিকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তাসরিফ লঞ্চের পেছনের একাংশ ভেঙে যায়। এ সময় সুরমা (৮) নামে এক শিশুসহ ওই লঞ্চের তিন-চারজন যাত্রী আহত হন। সংঘর্ষে লঞ্চের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিকট শব্দে ঘুম থেকে আঁতকে ওঠে শিশুসহ সাধারণ যাত্রীরা। তারা ছোটোছুটি করতে থাকে।
তাসরিফ-২ লঞ্চের সহকারী ইনচার্জ মোবারক করিম বলেন, ‘ফারহান লঞ্চ ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের লঞ্চটিকে ধাক্কা দিয়েছে। এতে লঞ্চটির অনেক ক্ষতি হয়েছে। যাত্রীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।’
এ বিষয়ে ফারহান-৫ লঞ্চের কেরানি মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় আমার মাস্টারের কোনো দোষ নেই। তাসরিফ-২ লঞ্চের মাস্টার বাঁ পাশ দিয়ে ওভারটেক করে আমাদের লঞ্চের সামনে এসে পড়ে। এতে আমাদের চার-পাঁচজন যাত্রী আহত হয়েছে।’ লঞ্চেরও ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।