বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র হতে চেয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের করা মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার বরিশাল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাসিবুল হাসান এ রায় ঘোষণা করেন।
২০২৩ সালের ১২ জুন সিটি নির্বাচন হয়। এতে ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ও চরমোনাই পীরের ভাই ফয়জুল ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী প্রার্থীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন। নির্বাচনে ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে মেয়র হয়েছিলেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই। আওয়ামী লীগের কর্মী ও প্রশাসন কেন্দ্র দখল করে ফয়জুলকে পরাজিত করেছিল—এমন অভিযোগ এনে তিনি ১৭ এপ্রিল মামলা করেন।
ফয়জুলের আইনজীবী আবদুল্লাহ নাসের জানান, ১৭ এপ্রিল মামলা করার পর ওই দিন ও ২৪ এপ্রিল শুনানি হয়েছিল। আজ পরবর্তী নির্ধারিত দিনে অধিকতর শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান। এ ক্ষেত্রে বিচারক উল্লেখ করেছেন, নির্বাচনী গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে হয়। ফয়জুল মামলা করেছেন ৪৪৫ দিন পর।
আইনজীবী নাসের বলেন, তাঁরা তামাদি আইনে মামলাটি করেছিলেন। এখন বরিশাল ট্রাইব্যুনালের রায়ে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
এদিকে মামলার শুনানির নির্ধারিত দিন আজ আদালত প্রাঙ্গণে চরমোনাই পীরের শত শত অনুসারী হাজির হয়েছিলেন। আগের দুই দিন তাঁরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভের নামে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে সমালোচিত হন। এর জেরে গত শনিবার ফয়জুল বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষোভ না করার জন্য অনুসারীদের প্রতি আহ্বান জানান। যে কারণে আজ রায়ে অসন্তুষ্ট হলেও পীরের অনুসারীরা আদালতপাড়ায় দৃশ্যমান কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাননি।