পিরোজপুরের নাজিরপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে ছাগল চুরির অভিযোগ উঠেছে। আ. লায়েক ফরাজী নামের অসহায় এক ব্যক্তির ছাগল চুরি করে ভুঁড়ি ভোজের ব্যবস্থা করেন তাঁরা। গত শুক্রবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার ভুক্তভোগী আ. লায়েক ফরাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে অনুযায়ী জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগীর একটি ছাগল হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা থেকে চুরি হয়ে যায়। গত সোমবার দুপুরে ওই ছাগলের চামড়া স্থানীয় ঋষি (চামড়া ক্রেতা) বিশ্ব নাথের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
চামড়ার ক্রেতা জানান, ওই চামড়াটি হাসপাতালের সুইপার বাশার শেখ তাঁকে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাশার শেখ বলেন, চামড়াটি হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ভুঁড়ি ভোজের জন্য জবাই দেওয়া ছাগলের চামড়া। স্যারেরা ছাগলটি গত শুক্রবার রাতে খেয়েছেন। ছাগলটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রান্না ঘরেই রান্না হয়েছে। আর ওই রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অফিস কক্ষেই ওই ভুঁড়ি ভোজের আয়োজন করা হয় বলে জানান ভুঁড়ি ভোজে অংশ নেওয়া কয়েকজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আয়োজনে অংশ নেওয়া একাধিক চিকিৎসক ভোজের তথ্য স্বীকার করে জানান, তাঁরা একটি দাওয়াতে সেখানে গিয়েছেন। সেখানে খাওয়া মাংসের ছাগল চুরি করা বা ক্রয় করা কিনা তা তাঁদের জানা নেই।
থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. আশ্রাফুজ্জামান বলেন, ছাগল চুরির একটি অভিযোগ জমা হয়েছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে।
এ বিষয়ে মোবাইলে কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচ এন্ড এফপিও) ডা. মো. ফজলে বারীর সঙ্গে। মো. ফজলে বারীর জানান, গত শুক্রবার তিনি বাড়িতে যান। সেখান থেকে তাঁর অসুস্থ শ্বশুরের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যান। বর্তমানে তিনি ঢাকায় আছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিসি টিভির ফুটেজে তাঁর যাওয়ার বিষয়ে রেকর্ড রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
তিনি আরও জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে তিনি বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করছেন। আর সে জন্যই একটি মহল তাঁর বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করছে।