হোম > সারা দেশ > বাগেরহাট

শেখ হেলাল, তন্ময়সহ ৩৫ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এসপি হাসনাতকে

বাগেরহাট প্রতিনিধি

শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ তন্ময় ও আবুল হাসনাত খান। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, বোমা ছোড়া ও স্থাপনা ধ্বংসের অভিযোগে বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ তন্ময়, সাবেক জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আবুল হাসনাত খানসহ আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতা-কর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রফিকুল ইসলাম মিঠু নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় মামলাটি করেন। এই মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গতকাল রাতে হওয়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন—বাগেরহাট-২ আসনের আরেক সাবেক সদস্য মীর শওকত আলী বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সাধারণ সম্পাদক ভূঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন, বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র খান হাবিবুর রহমান, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, শেখ হেলাল উদ্দিনের একান্ত সচিব ফিরোজুল ইসলাম জোমাদ্দার, ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন কুমার দাস, আবুল কালাম আজাদ ওরফে সাহেব মল্লিক, ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান বাবু, ইমরুল হাসান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শিপন মিনা, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খান আবু বক্কর সিদ্দিক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বসিরুল ইসলাম।

মামলায় আসামির তালিকায় আরও যাঁদের নাম রয়েছে তাঁরা হলেন—শামীম আহসান, মহিতুর রহমান পল্টন, সৈয়দ বাদশা হোসেন, দুলাল আকন, আব্দুল কাদের সরদার, হুমায়ুন কবির পলি, সুমন রাহি, মো. ফারুক হোসেন বাদল, দোলন মোল্লা, মমিনুল হক আকাশ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফী জেমস, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান সুলতান ওশান, কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবু, সাবেক চেয়ারম্যান নাজমা সারোয়ার, লিয়াকত হোসেন লিটন, ফারুক তালুকদার, নকিব নজিবুল হক নজু।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার ন্যায্য আন্দোলন নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে আসামিরা গত ৪ আগস্ট দুপুরে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী গোলচত্বর এলাকায় জড়ো হয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করেন। এ সময় ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন তারা। আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটান এবং হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিক গুলি ছোড়েন।

এ ছাড়া বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকায় ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন সময় উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। একটি ব্যালট, একটি বুলেটসহ নানা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি আসামিদের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি, বোমা ছোড়া, স্থাপনা ধ্বংসসহ কয়েকটি অভিযোগে ৩৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকজন বিভিন্ন মামলায় কারাগারে ছিলেন, তাঁদেরও এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’

এর আগে গত শুক্রবার রাতে বাগেরহাটের সাবেক এসপি আবুল হাসনাত খানকে আটক করা হয়। তাঁর সঙ্গে আটক করা হয় পুলিশের আরও তিন কর্মকর্তাকে। তাঁরা হলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম, নোয়াখালীর সাবেক এসপি আসাদুজ্জামান ও সিলেটের সাবেক এসপি আব্দুল মান্নান।

হলুদ সরিষা ফুলে ভরে উঠেছে মাঠ, কৃষকের বাড়তি লাভের আশা

ঋণ শোধ না করায় সাজাপ্রাপ্ত জামিনদার গ্রেপ্তার, আড়াই ঘণ্টা পরেই মৃত্যু

বাগেরহাট হাসপাতাল: আইসিইউ বন্ধ ১ বছর সেবাবঞ্চিত রোগীরা

চিতলমারীতে সারের ডিলার নিয়োগে নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ

বিষমুক্ত বেগুন চাষে মুরাদের বাজিমাত

বাগেরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমে জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার

ফকিরহাটে ‘গুপ্তধনের’ খোঁজে প্রাচীন মন্দিরে গোপনে খনন

সাবেক সংসদ সদস্য নূর আফরোজ মারা গেছেন

বাগেরহাটের চিতলমারী: হাসপাতাল চলছে ২ চিকিৎসকে

বিদ্যুৎ উৎপাদনে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের রেকর্ড