বাঘের মুখ থেকে ফিরে এল এক মহিষ। মারাত্মক জখম নিয়ে সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা মহিষটি অবশ্য জবাই করে মাংস বিক্রি করেছেন মালিক। মহিষটির গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখে বোঝা যায় প্রাণপণ লড়াই করেই প্রাণ নিয়ে ফিরেছিল প্রাণীটি।
গত বৃহস্পতিবার সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভাড়ানী টহল ফাঁড়ি এলাকার বনাঞ্চলে ঘটনাটি ঘটে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
মহিষের মালিক শরণখোলা উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সোবাহান হাওলাদার জানান, ভোলা নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় তাঁদের গ্রামের অনেক মহিষ ঘাস খেতে সুন্দরবনে যায়। তাঁর মহিষটি সময়মতো লোকালয় ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে বাঘের আক্রমণে মারাত্মক জখম অবস্থায় বন থেকে মহিষটি উদ্ধার করেন।
বাঘের সঙ্গে লড়াই করে মহিষটি জীবন বাঁচিয়েছে বলে ধারণা সোবাহান হাওলাদারের। তিনি বলেন, আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে হয় বাঘটি পেছন দিক থেকে মহিষটিকে আক্রমণ করেছিল। পেছনের দুটি পায়ে বাঘের নখ ও দাঁতের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মালিক পরে আহত মহিষটি জবাই করে ৫০০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করেছেন।
দাসের ভাড়ানী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল হক জানান, সুন্দরবনের বাঘের সঙ্গে মহিষের লড়াইয়ের ঘটনা শুনেছেন। ভোলা নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় লোকালয় থেকে সহজেই গরু মহিষ সুন্দরবনে ঢুকে পড়ে। ফলে মাঝে মধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। তিনি এ ব্যাপারে গ্রামবাসীকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছেন।