লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল সাগরে টিকতে না পেরে মাছ ধরার নৌকাগুলো (ফিশিং বোট) দুদিন ধরে সুন্দরবনসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে নোঙর করে রয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করেছে।
পূর্ব সুন্দরবনের দুবলার ভেদাখালী খালে নৌকা রেখেছেন মাঝি মিজানুর রহমান। বাগেরহাটের বগা এলাকার মাঝি তিনি। আজ বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, উত্তাল সাগরে টিকতে না পেরে গত দুদিন ধরে অনেক ফিশিং বোট সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানের খালে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। বর্তমানে ব্যাপক বৃষ্টিপাত আর সাগরে ঝোড়ো হাওয়া বইছে বলে মাঝি মিজানুর রহমান জানান।
শরণখোলা উপজেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন জানান, সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল হওয়ায় মাছ ধরতে না পেরে সুন্দরবনসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে শত শত ফিশিং বোট নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে কয়েক শ ফিশিং বোট সুন্দরবনের মেহেরআলী, ভেদাখালী, আলোরকোল খালসহ উপকূলের মহিপুর, খেপুপাড়া, নিদ্রা, সখিনা, পাথরঘাটা, শরণখোলা, রায়েন্দাসহ বিভিন্ন স্থানে নোঙর করেছে। এ বছর কয়েক দিন পর পর সাগরের আবহাওয়া খারাপ হচ্ছে। এর ফলে জেলে ও নৌকার মালিকেরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে আবুল হোসেন জানান।
বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দুলাল মাস্টার বলেন, দুর্যোগ যেন জেলেদের পিছু ছাড়ছে না। বারবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে উত্তাল সাগরে জাল ফেলতে না পেরে ফিশিং বোটগুলো উপকূলে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
পূর্ব সুন্দরবনের জেলেপল্লি দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার সুব্রত কুমার দাস আজ দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড ঢেউ ও ঝোড়ো বাতাসে সাগরে টিকতে না পেরে ফিশিং বোটসমূহ উপকূলের দিকে চলে গেছে। কিছু ফিশিং বোট সুন্দরবনের খালে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।