হোম > সারা দেশ > বাগেরহাট

বাগেরহাটে ৭৯ বছরের ঐতিহ্যবাহী মেলা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ৭৯ বছরের পুরোনো মেলা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বলভাদ্রপুর গ্রামবাসী। আজ শনিবার দুপুরে বলভাদ্রপুর সর্বজনীন পূজামন্দিরে দুর্গাপূজা কমিটি এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। পূজামন্দিরের সামনে বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কে ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে সহস্রাধিক লোক অংশ নেন। 

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বলভাদ্রপুর সর্বজনীন পূজামন্দিরে দুর্গাপূজা উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক কমলেশ দাস, পূজামন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুধাংশু কুমার দাস খোকন, স্থানীয় অনুপকুন্ডু, সাথী দাস, বিথিকা দাস, রিতা রানী দাস, মৌ দাস প্রমুখ। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৪৩ সালে বলভাদ্রপুর সর্বজনীন পূজামন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে এই মন্দিরে দুর্গাপূজার সঙ্গে মেলা হয়ে থাকে। করোনার সময়েও এখানে মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারও পূজার সঙ্গে মেলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম মন্দিরে এসে মেলা না করার নির্দেশ দেন। মন্দির কমিটি ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মেলা চালুর অনুমতির জন্য অনুনয়-বিনয় করা হলেও ইউএনওর মন গলেনি। মেলা বন্ধ হওয়ায় এলাকার বৃদ্ধ থেকে বাচ্চা সবাই ক্ষুব্ধ। ৭৯ বছরের এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে এবং মেলা চালুর অনুমতি দেওয়ার আবেদন করেন তাঁরা। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা সুধাংশ কুমার দাস খোকন বলেন, ‘বাগেরহাট শহরে মাসব্যাপী মেলাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে মেলা হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা শুধু আমাদের মেলা নিয়ে। যেকোনো মূল্যে এখানে মেলা করার অনুমতি দিতে হবে। না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।’ 

দুর্গাপূজা উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক কমলেশ দাস বলেন, ‘অজানা কারণে মাত্র এক দিন আগে মেলা বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা খুবই হতাশ। মেলায় কিছু খাবার ও কসমেটিকসের দোকান থাকে। অন্য কিছু তো থাকে না, তাহলে কেন মেলা বন্ধ করে দেওয়া হলো।’ 

এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, মেলা উপলক্ষে আগত ব্যবসায়ী ও জুয়ার আসর থেকে বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিপন কুমার দাস মোটা অঙ্কের টাকা গ্রহণ করেছেন। এই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মেলার জায়গার মালিক সোমনাথ দের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে এই মেলা বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া চেয়ারম্যানের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে সোমনাথ দে ও চেয়ারম্যানের লোকজনের মধ্যে অন্তর্কোন্দল চলছে এলাকায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বনগ্রাম ইউপির চেয়ারম্যান রিপন কুমার দাস বলেন, ‘একটি পক্ষ জুয়ার কোট বসাতে চেয়েছিল। স্থানীয় চেয়ারম্যান হিসেবে জুয়ার কোট বসাতে না দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মেলার টাকা মন্দির কমিটি নিয়েছে, আমি মেলার কোনো টাকা নিইনি।’ 

জমির মালিক সোমনাথ দে বলেন, ‘মেলা বন্ধের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। অনুমতি না থাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জুয়ার কোট ও আর্থিক বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই।’ 

ইউএনও মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে অনুমতি ছাড়া মেলা আয়োজনসহ বেশ কিছু অসংগতি পাওয়া যায়। যার কারণে মেলা করতে নিষেধ করা হয়েছে। পূজা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান যথারীতি চলবে। 

হলুদ সরিষা ফুলে ভরে উঠেছে মাঠ, কৃষকের বাড়তি লাভের আশা

ঋণ শোধ না করায় সাজাপ্রাপ্ত জামিনদার গ্রেপ্তার, আড়াই ঘণ্টা পরেই মৃত্যু

বাগেরহাট হাসপাতাল: আইসিইউ বন্ধ ১ বছর সেবাবঞ্চিত রোগীরা

চিতলমারীতে সারের ডিলার নিয়োগে নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ

বিষমুক্ত বেগুন চাষে মুরাদের বাজিমাত

বাগেরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমে জেলখানা পুকুরের কচুরিপানা পরিষ্কার

ফকিরহাটে ‘গুপ্তধনের’ খোঁজে প্রাচীন মন্দিরে গোপনে খনন

সাবেক সংসদ সদস্য নূর আফরোজ মারা গেছেন

বাগেরহাটের চিতলমারী: হাসপাতাল চলছে ২ চিকিৎসকে

বিদ্যুৎ উৎপাদনে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের রেকর্ড